ওলাফ শলৎস: জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের জন্ম ১৪ জুন ১৯৫৮ সালে। তিনি সামাজিক গণতন্ত্রী দল (এসপিডি)-এর সদস্য এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত আঙ্গেলা মের্কেলের সরকারে উপ-চ্যান্সেলর এবং অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হামবুর্গের নগরপ্রধান এবং ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এসপিডির উপ-নেতা ছিলেন। ১৯৮৫ সালে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা শলৎস শ্রম আইন ও কর্মসংস্থান আইনে বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বুন্ডেসটাগের সদস্য ছিলেন। ২০০২ সালে এসপিডির সাধারণ সম্পাদক হন এবং ২০০৭ সালে মের্কেলের সরকারে শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। ২০১৯ সালে, ক্লারা গাইভিৎসের সাথে দলের নেতৃত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিন্তু পরাজিত হন। ২০২০ সালে এসপিডি তাকে ২০২১ নির্বাচনে চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। ২০২১ সালের নির্বাচনে এসপিডি সবুজ দল ও ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাথে একটি ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে তিনি পদত্যাগ করেন এবং ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা হয়। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও জার্মানির রাজনীতিতে অবদান বেশ উল্লেখযোগ্য।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বুন্ডেসটাগে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পর ওলাফ শলৎস জার্মানির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের সময় জার্মানির প্রতিক্রিয়া, জার্মান প্রতিরক্ষা বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি 'জাইটেনভেন্ডে' ভাষণে জার্মান প্রতিরক্ষা নীতির নীতিমালা তুলে ধরেন। পরবর্তীতে, নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের ধ্বংস এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সময় জার্মানির প্রতিক্রিয়ায় তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার সরকারের বাজেট সংক্রান্ত সমস্যা এবং ২০২৩-২০২৪ সালের বিক্ষোভও উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০২৪ সালের নভেম্বরে অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে পদচ্যুত করেন, যার ফলে জোট সরকার ভেঙে পড়ে এবং ডিসেম্বরে আস্থা ভোটে পরাজিত হন।
ওলাফ শলৎস একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তার জার্মানির রাজনীতিতে দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তার কর্মজীবনের বিভিন্ন পদ ও তার দায়িত্ব পালনের বিবরণ উল্লেখযোগ্য। জার্মানির রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি অনন্য।