ওয়ালটন: বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্টের অভূতপূর্ব উত্থান
ওয়ালটন, বাংলাদেশের একটি অগ্রণী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, যা ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, হোম অ্যান্ড কিচেন এবং প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭০ সালে এস এম নজরুল ইসলামের হাত ধরে ওয়ালটন ইস্পাত শিল্প হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে, তার পুত্র এস এম নুরুল আলম রিজভির নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে এটি একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয় এবং ২০০০ সালে ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইল ব্যবসায় প্রবেশ করে।
ওয়ালটন গ্রুপের অধীনে রয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ওয়ালটন করপোরেশন, ওয়ালটন প্লাজা, ওয়ালটন ই-প্লাজা ইত্যাদি। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিশাল কারখানাটি ২০০২ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে ২০০৬ সালে সম্পন্ন হয়। এখানে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ নানা ধরণের পণ্য উৎপাদিত হয়। ২০২০ সালে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং ঐ বছরই কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ৩৩ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশন এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যথাক্রমে টিভি, হোম এপ্লায়েন্স এবং মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ উৎপাদন করে।
ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে অন্যতম এবং দেশের অর্থনীতিতে এর অবদান অপরিসীম। এপ্রিল ২০২৪ সালে, 'রূপান্তর' নামের একটি নাটক স্পন্সর করার পর LGBTQ+ অধিকার প্রচারের অভিযোগে জড়িয়ে পড়ে ওয়ালটন। পরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং 'লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট' সংস্থাকে আইনি নোটিশ প্রেরণ করে। ওয়ালটন, একটি সফল বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।