বেনাপোল ও ভোমরা বন্দর: ওজন কারচুপি এবং রাজস্ব লোকসানের অন্ধকার দিক
সম্প্রতি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরকে ঘিরে ওজন কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, যা রাষ্ট্রীয় রাজস্বের গুরুতর ক্ষতি সাধন করছে। বেনাপোল বন্দরে ডিজিটাল ওজন ব্যবস্থার কারণে আমদানিকারকরা ভোমরা বন্দরের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, যেখানে ম্যানুয়াল ওজন ব্যবস্থা রয়েছে এবং ওজন কারচুপি সহজতর।
- *ঘটনার বিবরণ:**
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে আপেল ভর্তি একটি ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। ওজন কারচুপির মাধ্যমে প্রায় ১০০০ কেজি আপেলের ওজন কমানো হয়। একইদিন আরেকটি ট্রাকের ওজনে প্রায় ৬ টন কারচুপি করা হয়। এই ঘটনাগুলি সরকারী রাজস্বের গুরুতর ক্ষতির দিকে ইঙ্গিত করে। বেনাপোল বন্দর থেকে ভোমরা বন্দরে আমদানিকারকদের সরণাপন্ন হওয়ার পেছনে মূল কারণ হল ওজনে কারচুপি করে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ।
- *ভুক্তভোগীরা:**
এই ওজন কারচুপির শিকার হচ্ছেন সরকার, যার ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব লোকসান হচ্ছে। আমদানিকারকরা এর মাধ্যমে অতিরিক্ত লাভবান হচ্ছেন। বন্দর ও কাস্টমসের কিছু কর্মকর্তা এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
- *প্রতিক্রিয়া:**
ভোমরা বন্দর কর্তৃপক্ষ ওজন কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খুলনা কাস্টমস হাউসের কমিশনার এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন, তবে তাঁর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমদানিকারকদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে ধরা যায়। শুল্ক গোয়েন্দা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত এবং ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- *উপসংহার:**
ভোমরা বন্দরে ওজন কারচুপির ঘটনা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতির সাথে সাথে দুর্নীতির এক গুরুতর উদাহরণ। এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচির উপর জোর দেওয়া অপরিহার্য।