এস এম ফজলুল হক

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

এস এম ফজলুল হক নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে, যাদের জীবনী ও কাজের ক্ষেত্র সম্পূর্ণ আলাদা। একজন হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, অন্যজন হলেন একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং ভাষা সংগ্রামী।

প্রথম এস এম ফজলুল হক:

এই এস এম ফজলুল হক মুক্তিযুদ্ধকালীন হাটহাজারী থানা কমান্ডার ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এবং সাংবাদিকদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানকে স্মরণ করেছেন। তিনি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার ও ন্যায়ভিত্তিক শাসন নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি চট্টগ্রামে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিজেএ) চট্টগ্রাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় এস এম ফজলুল হক:

এই এস এম ফজলুল হক একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ব্রজমোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সাবেক বিভাগীয় প্রধান এবং বরিশাল ইসলামিয়া কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। তার স্কুল জীবন গোপালগঞ্জে কেটেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সালে বি.এম কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষাপটে তিনি ছাত্রদের মধ্যে দেশপ্রেমের আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ বপন করেছেন। ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তার ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সাংবাদিকদের অবদান স্মরণ করেছেন।
  • তিনি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার ও ন্যায়ভিত্তিক শাসনের পক্ষে কাজ করেছেন।
  • শিক্ষাবিদ এস এম ফজলুল হক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং দেশপ্রেমের আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন।
  • চট্টগ্রাম ও বরিশালে তাদের স্মৃতি বিদ্যমান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - এস এম ফজলুল হক

এস এম ফজলুল হক চট্টগ্রামে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের(টিসিজেএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।