এস এম কামাল

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম

এস এম কামাল নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আর একজন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রদূত এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

এস এম কামাল হোসেন (রাজনীতিবিদ):

এস এম কামাল হোসেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, মনোনয়ন বাণিজ্য, এবং ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে তিনি ‘মডেল কারচুপি’র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। তার বার্ষিক আয় ৪৭ লাখ টাকার বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এস এম কামাল (তথ্যপ্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব):

এস এম কামাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। ১৯৪৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তার জন্ম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৮ সালে আইবিএমে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বেক্সিমকো কম্পিউটার্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রাহিতুল ইসলামের লেখা ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক এস এম কামাল’ বইয়ে তার জীবনী তুলে ধরা হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • এস এম কামাল হোসেন খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
  • তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
  • ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান।
  • এস এম কামাল বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
  • তিনি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পথিকৃৎ।
  • ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে মারা যান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।