এম. কে. আনোয়ার: একজন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী
মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার, সংক্ষেপে এম. কে. আনোয়ার (১ জানুয়ারি ১৯৩৩ – ২৪ অক্টোবর ২০১৭), বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি ৫ বার জাতীয় সংসদ সদস্য এবং দুইবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষা ও প্রাথমিক জীবন:
১৯৪৮ সালে লেটার মার্কসহ মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আই.এস.সি. পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি. (সম্মান) এবং পরিসংখ্যানে এম.এস.সি. ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
পেশাগত জীবন:
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সি.এস.পি) যোগ দিয়ে ৩৪ বছর (১৯৫৬-১৯৯০) সরকারি প্রশাসনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ফরিদপুর ও ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জুটমিল কর্পোরেশনের সমিতি, টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান, এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঝিনাইদহ মহকুমার এসডিও (সাব-ডিভিশনাল অফিসার) হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ঝিনাইদহ সরকারি কে.সি কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকার জেলা প্রশাসক ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে কুমিল্লার হোমনা আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারে বাণিজ্য, নৌ-পরিবহন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
১৯৫৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিলেন। তার স্ত্রী মাহমুদা আনোয়ার।
মৃত্যু:
২৪ অক্টোবর ২০১৭ সালে ৮৪ বছর বয়সে ঢাকার নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
এম. কে. আনোয়ার: একজন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদে দায়িত্ব পালন, ৫ বার সংসদ সদস্য, দুইবার মন্ত্রী। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ২৪ অক্টোবর ২০১৭ মৃত্যু।