বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা: একটি বিস্তারিত আলোচনা
বেগমগঞ্জ উপজেলা নোয়াখালী জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। সোনাইমুড়ি উপজেলা বিভক্ত হওয়ার পূর্বে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা ছিল। বর্তমানে এর আয়তন ২৩৮.৩৭ বর্গ কিমি এবং জনসংখ্যা ৫৪৯৩০৮ (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।
ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা:
বেগমগঞ্জ উপজেলার অবস্থান ২২°৫২´ থেকে ২৩°০৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৯´ থেকে ৯১°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এর উত্তরে সোনাইমুড়ি ও চাটখিল, দক্ষিণে নোয়াখালী সদর, কবিরহাট ও সেনবাগ, পূর্বে সেনবাগ এবং পশ্চিমে চাটখিল ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা অবস্থিত। ডাকাতিয়া নদী ও ওয়াপদা খাল এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য জলাশয়।
প্রশাসনিক গঠন:
১৮৯২ সালে বেগমগঞ্জ থানা গঠিত হয় এবং বর্তমানে এটি একটি উপজেলা। উপজেলায় ১টি পৌরসভা (চৌমুহনী) এবং ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে।
অর্থনীতি ও শিল্প:
বেগমগঞ্জের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, চিনাবাদাম, ডাল, সরিষা, শাকসবজি প্রধান কৃষি ফসল। উপজেলার চৌমুহনী বাজার বৃহত্তর নোয়াখালীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এখানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বইয়ের বাজার, সরিষার তেল কারখানা, মুড়ি কারখানা ও রাইস মিল রয়েছে। এছাড়াও, ডেল্টা জুট মিল, গ্লোব ফার্মাসিউটিকাল, গ্লোব সফট ড্রিংকস, বেগমগঞ্জ ফিড মিল, ইন্টামেক্স গার্মেন্টস, বিসিক শিল্প নগরী সহ বেশ কিছু বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প কলকারখানা এ উপজেলায় অবস্থিত।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি:
বেগমগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার হার ৫৯.৩%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বেগমগঞ্জ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট, বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, চৌমুহনী সালেহ আহমদ কলেজ ইত্যাদি। উপজেলায় ক্লাব, লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম, নাট্যমঞ্চ, প্রেসক্লাব, সিনেমা হল প্রভৃতি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানও বিদ্যমান।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা স্তিমিত করার জন্য মহাত্মা গান্ধী এই উপজেলায় এক শান্তিমিশনে আসেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর সড়কের আমিনবাজার, চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাজাকার ক্যাম্প, এবং গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে।
এনায়েতনগর সম্পর্কে এই পাঠ্যে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরে আপডেট করব।