এতিমখানা: পিতৃ-মাতৃহীন কিংবা অভাবী পরিবারের সন্তানদের আশ্রয় ও পরিচর্যার জন্য প্রতিষ্ঠিত আবাসিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে এতিমখানার ইতিহাস বহুদূর অতীতে বিস্তৃত। যাকাত, ধর্মীয় দান, ব্যক্তিগত দান এবং সরকারি অনুদানের মাধ্যমে এগুলো পরিচালিত হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে সরকারি অর্থায়নের প্রচলন শুরু হয়। বর্তমানে দুই প্রকার এতিমখানা রয়েছে: মাদ্রাসাভুক্ত ‘লিল্লাহ বোর্ডিং’ এবং স্বতন্ত্র এতিমখানা। সরকারি শিশুসদন/শিশু পরিবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯৪৪ সালে ‘এতিম ও বিধবা-সদন আইন’ প্রণয়ন এই ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এই আইনের ফলে জেলা ও থানা সদরে সরকারি এতিমখানা স্থাপন করা হয়। ১৯৬১ সালে শিক্ষা দপ্তর থেকে এসব প্রতিষ্ঠান সমাজকল্যাণ দপ্তরের অধীনে চলে আসে। বর্তমানে ৭৩টি সরকারি শিশু পরিবারে প্রায় ৯৫০০ শিশু প্রতিপালিত হচ্ছে। বেসরকারি এতিমখানার সংখ্যা ও অনেক। এতিম শিশুদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান এবং পুনর্বাসন এই সকল ক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ ও থাকে যেমন পর্যাপ্ত অর্থের অভাব, সুযোগ-সুবিধার অভাব ইত্যাদি। এতিম শিশুদের কল্যাণ এবং তাদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতিমখানা
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৪৪ সালে এতিম ও বিধবা-সদন আইন প্রণয়ন
- ১৯৬১ সালে শিক্ষা দপ্তর থেকে সমাজকল্যাণ দপ্তরে এতিমখানার দায়িত্ব ন্যস্ত
- ৭৩টি সরকারি শিশু পরিবারে প্রায় ৯৫০০ শিশু প্রতিপালন
- সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরণের এতিমখানা বিদ্যমান
- এতিম শিশুদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ