এজেন্সি

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২১ পিএম

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে বাংলায় এজেন্সি হাউসের উত্থান ও অবদানের একটি বিস্তারিত আলোচনা। ১৭৬০-এর দশকে সীমিতসংখ্যক ইউরোপীয় ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এজেন্সি ব্যবস্থার সূচনা করে। এই ব্যবসায়ীরা, যাদেরকে ‘মুক্ত বণিক’ বলা হতো, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঞ্চয় সংগ্রহ, অর্থ বিনিয়োগ এবং বাংলার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত ছিল। ১৭৭৫ সাল নাগাদ পাঁচটি এজেন্সিতে সংগঠিত হয়ে ১৮১৩ সালে এদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২-তে। আফিম, নীল, জাহাজনির্মাণ, উপকূলীয় বাণিজ্য, ব্যংকিং, বীমা, বাষ্পীয় পোত চলাচল, ঢালাই কারখানা, সাংবাদিকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের অবদান ছিল। ১৮৩০-এর দশকে আনুষ্ঠানিক অর্থপ্রতিষ্ঠানের আবির্ভাবের সাথে সাথে এজেন্সি হাউসের প্রভাব কমতে থাকে। এরা দেশীয় বেনিয়া প্রতিষ্ঠানের অবসান ঘটায়। তাদের কার্যকলাপের মধ্যে কোম্পানির পক্ষে পণ্য সংগ্রহ, পরিবহন, আমদানি-রপ্তানি, অর্থ প্রেরণ, বিনিয়োগ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৭৬০-এর দশকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সীমিত সংখ্যক মুক্ত ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স প্রদান করে।
  • মুক্ত বণিকরা বাংলার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে।
  • ১৭৭৫ সালে ৫টি এজেন্সি হাউস, ১৮১৩ সালে ৩২ টিতে পরিণত হয়।
  • আফিম, নীল, জাহাজ নির্মাণ, ব্যংকিং, বীমা ইত্যাদিতে অবদান রাখে।
  • ১৮৩০-এর দশকে আনুষ্ঠানিক অর্থ প্রতিষ্ঠানের আগমনে এজেন্সি হাউসের প্রভাব কমে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।