একেএম মাকসুদুল ইসলাম: একজন প্রকৌশলী, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ৩০ ডিসেম্বর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। তাকে প্রকল্প পরিচালক পদে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, পরবর্তীতে প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায়, নিয়োগ বাতিল করা হয়। তার নেতৃত্বে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (ফেইজ-১) বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ প্রকল্পে জাপানের মিটসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এর কনসোর্টিয়াম এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পালন করছে। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। দুদকের তদন্তের পর তার দেওয়া সম্পদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলা হয়েছে। তার চাকরির মেয়াদ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয় এবং ১ জানুয়ারী থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ও প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ অন্যদের সহযোগিতায় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটি তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে সীমাহীন অনিয়মের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে।
অন্যদিকে হবিগঞ্জ জেলার কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলমের নামও উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৪ - ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ সময়কালে কর্মরত ছিলেন। তিনি একজন জিনতত্ত্ববিদ ছিলেন এবং পাটের জিন নকশা আবিষ্কারের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ডাটাসফটের একদল গবেষক ২০১০ সালে পাটের জিন নকশা সফলভাবে উন্মোচন করেন। ২০১৬ সালে তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পেয়েছিলেন।