একরাম হোসেন নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। প্রথম একরাম হোসেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী কম্পিউটার প্রকৌশলী ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯৫ সালে বিএসসি এবং ১৯৯৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কানাডার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন, নেটওয়ার্ক ও পরিষেবা গবেষণা গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন। তার গবেষণার কাজ ব্যাপকভাবে উদ্ধৃত হয়েছে এবং তিনি ২০১৫ সালে আইইইই ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ১৫৫ টি জার্নাল পেপার, ১৪৪ টি কনফারেন্স পেপার, ১০ টি বই এবং ২০ টি বইয়ের অধ্যায় প্রকাশ করেছেন এবং ১২ জনেরও বেশি পিএইচডি থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন।
দ্বিতীয় একরাম হোসেন (একরামুল হক একরাম নামেও পরিচিত) ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালের ২০ মে তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন ৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই পলাতক রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পিছনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পরও মামলার বিচার শেষ হয়নি।