অস্কারজয়ী সুরসম্রাট এ. আর. রহমান: ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের এক নজর
বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এ. আর. রহমান, যাঁর সুরে মুগ্ধ হয়েছে কোটি কোটি মানুষ, তার জীবনী সম্পর্কে এই লেখায় ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
প্রাথমিক জীবন ও পরিবার:
৬ জানুয়ারী ১৯৬৭ সালে ভারতের মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন এ. আর. রহমান। তার আসল নাম ছিল এ. এস. দিলীপ কুমার। তিনি একজন হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা আর. কে. শেখর একজন তামিল সংগীত সুরকার ছিলেন। নয় বছর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর রহমানের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে কঠিন সময় পার করে।
সংগীত জীবনের সূচনা:
একাদশ বছর বয়স থেকেই রহমান দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সুরকারের সাথে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তামিল চলচ্চিত্র ‘রোজা’ দিয়ে তার সংগীত পরিচালনার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গীলা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বলিউডে পা রাখেন।
সম্মাননা ও পুরস্কার:
রহমানের অসংখ্য পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ চলচ্চিত্রের জন্য অস্কার, গ্র্যামি, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। এছাড়াও, তিনি ভারতের ছয়টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
১৯৯৫ সালে রহমান অভিনেতা রাশিন রহমানের শ্যালিকা সায়রা বানুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানেন এই দম্পতি। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উভয়েই 'মানসিক দূরত্ব' উল্লেখ করেছেন।
অন্যান্য তথ্য:
- রহমানের কাজ ভারতীয় সংগীতের সাথে ইলেক্ট্রনিক, ওয়ার্ল্ড ও পশ্চিমা সংগীতের মিশ্রণের জন্য পরিচিত।
- তিনি একজন মানবতাবাদী ও দাতা। অনেক চ্যারিটি কাজের সাথে জড়িত।
- ২০০৪ সালে ‘টাইম ম্যাগাজিন’ তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
এ. আর. রহমানের জীবন ও কাজ ভারতীয় সঙ্গীত জগতে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান। তার সুর আজও শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে চলেছে। আশা করি এই সংক্ষিপ্ত জীবনী তার প্রতি আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করবে।