উলিপুর থানা

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:২৬ পিএম

উলিপুর থানা: একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ

উলিপুর থানা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই থানাটি উলিপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

উলিপুর থানার ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:

উলিপুর থানার প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ নির্ণয়ের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে ১৯০২ সালের উল্লেখ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই থানার অধীনে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কারণে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বরের সংঘর্ষ ও তার পরবর্তী ঘটনা:

২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর, কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে উলিপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের কারণ ছিল একটি অরাজনৈতিক বিষয়ের সালিশ। এই ঘটনার পর, নিহতের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর এবং বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ:

  • আশরাফুল ইসলাম: নিহত উলিপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
  • আয়নাল হক: আশরাফুল ইসলামের পিতা।
  • তাসভীরুল ইসলাম: কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, আশরাফুলের সমর্থক।
  • আব্দুল খালেক: বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সংগঠনিক সম্পাদক, প্রতিপক্ষের নেতা।
  • আমিনুল ইসলাম: আব্দুল খালেকের সমর্থক, যার মালিকানাধীন হোটেলে ভাঙচুর হয়।
  • আবু জাফর সোহেল রানা: জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, যার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়।
  • ফিরোজ কবির কাজল: সাবেক ছাত্রদল নেতা, যার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়।
  • জিল্লুর রহমান: উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
  • ডা. মনজুর এ মুর্শেদ: কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন।

সংশ্লিষ্ট স্থান:

  • উলিপুর থানা চত্বর
  • উলিপুর পৌরসভা
  • দয়ালপাড়া
  • কাজিরচর মসজিদ
  • শুভেচ্ছা হোটেল
  • আবু জাফর সোহেল রানার বাড়ি
  • ফিরোজ কবির কাজলের বাড়ি

সংশ্লিষ্ট সংগঠন:

  • বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)
  • যুবদল
  • কৃষকদল
  • ছাত্রদল
  • উলিপুর থানা পুলিশ

উলিপুর থানা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের তালিকা:

  • উলিপুর থানা ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • উলিপুর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম এই থানার অধীন।
  • ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে থানা চত্বরে সংঘর্ষের ফলে এক যুবদল নেতা নিহত হন।
  • সংঘর্ষের পর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

ট্যাগ: উলিপুর থানা, কুড়িগ্রাম, বিএনপি, সংঘর্ষ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, রাজনৈতিক হিংসা

অস্পষ্টতার সম্ভাব্যতা: উলিপুর থানা শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে (যেমন, থানা ভবন, থানার কর্মকর্তারা, থানার অধীন এলাকা)। তাই প্রসঙ্গভেদে স্পষ্টতার জন্য 'উলিপুর থানা (প্রশাসনিক)' এই রকম বিশেষণ যুক্ত করা উচিত।

মেটা বর্ণনা: উলিপুর থানার ইতিহাস, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, এর ফলে এক যুবদল নেতার মৃত্যু এবং পরবর্তী ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • উলিপুর থানা ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • থানাটি উলিপুর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে
  • ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সংঘর্ষে এক যুবদল নেতা নিহত
  • সংঘর্ষের পর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - উলিপুর থানা

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই থানা চত্বরে হত্যার ঘটনা ঘটে।

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

উলিপুর থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।