ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ৭৫ লাখ টাকার অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের নাম জড়িত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় নেওয়া ৮ টি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ইচাইল উচ্চ বিদ্যালয় সংস্কার, আন্ধারিয়াপাড়া বিডিএস দাখিল মাদ্রাসা, কাচিচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ছলেমননেছা এতিমখানা ও দাখিল মাদ্রাসা, অন্বেষণ উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা পরিষদের রাস্তা (এইচবিবি), উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টার মেরামত। প্রতিটি প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ ছিল, চেয়ারম্যানের কোয়ার্টার মেরামতের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান - প্রসাদ এন্টারপ্রাইজ, অর্ণব এন্টারপ্রাইজ এবং উড়াল এন্টারপ্রাইজ - কাজ পেলেও, অভিযোগ উঠেছে যে কোনও কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজ চলমান দেখিয়ে আগেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কারণে কাজ না করে ৫০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। বাকি টাকার ব্যাপারে তিনি সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালালের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ছলেমননেছা এতিমখানা ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আসাদুল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি ৮ ডিসেম্বর উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে টাকা বরাদ্দের কথা জানতে পেরেছিলেন। তবে, এখনো কোনও টাকা পাননি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রসাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ প্রসাদ জানিয়েছেন, তিনটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা প্রকৌশলী
মূল তথ্যাবলী:
- ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- উপজেলা প্রকৌশলী, ইউএনও ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
- দুদকের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া
- ৮টি প্রকল্পের টাকা আত্মসাত
- উপজেলা প্রকৌশলী ৫০ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন
গণমাধ্যমে - উপজেলা প্রকৌশলী
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।