ইলিশা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:১৫ এএম

ইলিশা: একাধিক অর্থে ব্যবহৃত একটি শব্দ

'ইলিশা' শব্দটি বাংলা ভাষায় একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ভৌগোলিক স্থান, একটি গ্যাসক্ষেত্র এবং একটি মাছের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই লেখায় আমরা ইলিশার তিনটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করব:

১. ভোলা জেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন:

বাংলাদেশের ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলায় অবস্থিত ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন একটি প্রশাসনিক এলাকা। এই ইউনিয়নের আয়তন ১০,৩৫৮ একর। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ইউনিয়নের জনসংখ্যা ছিল ৪৬,৯২৪ জন। এখানকার সাক্ষরতার হার ৩৪.৫%। এই ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম ভোলা সদর থানার আওতাধীন এবং এটি জাতীয় সংসদের ১১৫নং নির্বাচনী এলাকা ভোলা-১ এর অংশ।

২. ভোলায় আবিষ্কৃত ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র:

ভোলা জেলায় অবস্থিত ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র, বাংলাদেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। এই কূপে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে, যা দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়। ২০২৩ সালের মে মাসে এই ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। বাপেক্স এই ক্ষেত্রে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ করেছে। এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ২৫-২৬ বছর গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩. ইলিশ মাছ:

'ইলিশা' শব্দটি কখনও কখনও ইলিশ মাছকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। ইলিশ (Tenualosa ilisha) বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এটি একটি সামুদ্রিক মাছ যা ডিম পাড়ার জন্য নদীতে আসে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইলিশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

আশা করি, ইলিশা শব্দটির বিভিন্ন প্রসঙ্গ সম্পর্কে এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা আপনার জন্য উপকারী হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ভোলা জেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন একটি প্রশাসনিক এলাকা
  • ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র
  • ইলিশ (Tenualosa ilisha) বাংলাদেশের জাতীয় মাছ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।