ইমামুল হক নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন।
প্রথম ইমামুল হক: এস এম ইমামুল হক একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ২০১৫ সালে তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছিলেন। মৃত্তিকা বিজ্ঞানে তাঁর অবদান অতুলনীয়। মাটি থেকে পানির মাধ্যমে খাদ্য চক্রে আর্সেনিকের সংক্রমণ এবং প্রকোপ নিয়ে তাঁর গবেষণা দেশে বিদেশে প্রশংসিত। তিনি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সেন্টার ফর এনভাইরনমেন্টাল রিসার্চ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র রচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমী অব সাইন্স গোল্ড মেডেল, ইউজিসি এ্যাওয়ার্ড, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পদক এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।
দ্বিতীয় ইমামুল হক: ইনামুল হক (২৯ মে ১৯৪৩ – ১১ অক্টোবর ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক। তিনি দীর্ঘকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। নাট্যকলায় অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘একুশে পদক’ প্রদান করে। তিনি ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’ ও ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ৬০টির বেশি টেলিভিশন নাটক লিখেছেন এবং অসংখ্য মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নির্জন সৈকতে’, ‘গৃহবাসী’, ‘মুক্তিযুদ্ধ নাটকসমগ্র’ ইত্যাদি। তিনি ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর মারা যান।