ইব্রাহীম খলিল

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৬ এএম
নামান্তরে:
ইব্রাহিম খলিল নোয়াব বালা
ইব্রাহীম খলিল

ইব্রাহীম খলিল নামটি একাধিক ব্যক্তি বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই লেখাটিতে দুইজন ইব্রাহীম খলিল সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়।

প্রথম ইব্রাহীম খলিল:

এই ইব্রাহীম খলিল (১৯৪৭-৭ জুলাই ১৯৮১), নোয়াব বালা নামেও পরিচিত, ছিলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের বালা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসীন হল ছাত্র সংসদের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৬৯ সালের ১১ দফা ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৭ জুলাই ১৯৮১ সালে লন্ডনে তিনি মারা যান। তার স্ত্রীর নাম বেগম শামসুন নাহার খলিল।

দ্বিতীয় ইব্রাহীম খলিল:

এই ইব্রাহীম খলিল (১ জানুয়ারী ১৯১৬ - ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, নাট্যকার এবং শিক্ষাবিদ। পুরানো ঢাকার বাংলাবাজারে বসবাসকারী এই ব্যক্তি মুসলিম হাই স্কুল এবং পরে অবসর গ্রহণের পর ঢাকা পগোজ হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সাহিত্যচর্চায় জড়িত ছিলেন এবং তার উপন্যাস, নাটক, গল্প ও ভ্রমণকাহিনী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তার প্রথম নাটক 'সমাধি' ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। নাটকে ইসলামি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতেন। তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

উপরোক্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, দুইজন ইব্রাহীম খলিল-এর জীবনী, পেশা এবং কর্মক্ষেত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আশা করি এই ব্যাখ্যা আপনার উপকারে আসবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইব্রাহীম খলিল নামে দুজন ব্যক্তি রয়েছেন
  • প্রথম ইব্রাহীম খলিল একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন (১৯৪৭-১৯৮১)
  • দ্বিতীয় ইব্রাহীম খলিল ছিলেন একজন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ (১৯১৬-১৯৭৪)
  • প্রথম ইব্রাহীম খলিল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ছিলেন
  • দ্বিতীয় ইব্রাহীম খলিল বাংলা একাডেমি পুরষ্কার বিজয়ী ছিলেন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ইব্রাহীম খলিল