ইউটিউবার: এক নতুন যুগের তারকা
ইউটিউব, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরই বলা হয় ইউটিউবার। এরা কেবল ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে না, বরং তারা এক একজন করে ছোট্ট চলচ্চিত্রকার, সামাজিক প্রভাবক, এমনকি অনেক সময় ব্যবসায়ীও। ২০০৬ সালে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথেই ইউটিউবার শব্দটির প্রচলন শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে ইউটিউবাররা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, রুচি, দক্ষতা নিয়ে ভিডিও তৈরি করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ইউটিউব একটি ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। প্রভাবশালী ইউটিউবাররা অনেক ধরণের ব্র্যান্ড এবং কোম্পানির জন্য প্রচারণা করে আয় করেন। অনেকে নিজস্ব মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করেন, এবং অনেক ইউটিউবার পেট্রিয়ন এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সদস্যপদ ভিত্তিক আয় করেন।
২০১৪ সালে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা প্রমাণ করেছে যে, কিশোর-কিশোরীদের উপর প্রভাব বিস্তার কার্যে প্রথাগত তারকাদের চেয়ে ইউটিউব তারকারা অধিক প্রভাবশালী। সেই সমীক্ষায় স্মোশ নামক ইউটিউব চ্যানেল সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে উঠে আসে। পিউডিপাই এবং জোয়েলা যে ধরণের প্রভাব বিস্তার করেছেন তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও হয়েছে। ২০১০ সালের শেষের দিকে করা অনেক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, শিশুদের কাছে ইউটিউব তারকা হওয়া সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পেশা।
বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার আছেন। তাদের মধ্যে অনেক ই ভালো আয় করছেন এবং দর্শকদের মন জয় করছেন। ২০২২ সালে ন্যাচারাল ফিশিং বিডি চ্যানেলের ইউটিউবার মিজানুর রহমান মাসে তিন লাখ টাকার উর্ধ্বে আয় করার কথা জানান, যা ইউটিউবের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিফলিত করে। সুতরাং, ইউটিউবার শুধু একটি পেশা না, এটি একটি সামাজিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার প্রতীক।