২০২৪ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে চার বছর মেয়াদী রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ট্রাম্পের জয়ের ক্ষেত্রে তিনি গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হবেন যিনি অ-পরবর্তী মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। উভয় প্রার্থী যদি তাদের দলের মনোনয়ন লাভ করে তাহলে ১৯৫৬ সালের পর এটি প্রথম পুনঃপ্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। অন্যান্য প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিজয়ী রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিকভাবে ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং দলের প্রায় নিশ্চিত মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। তবে ২০২৪ সালের জুন মাসের বিতর্কের পর, বাইডেনের বয়স ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যায় এবং দলের কিছু সদস্য তাকে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। প্রথমে দৃঢ়ভাবে নির্বাচনে থাকার কথা ঘোষণা করলেও, ২১ জুলাই তিনি প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেন। ৫ আগস্ট হ্যারিস ডেমোক্রেটিক দলের মনোনীত প্রার্থী হন এবং মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজকে তার রানিং মেট হিসেবে নির্বাচন করেন।
মনোনয়ন সম্মেলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রার্থী নির্বাচন করে। অঙ্গরাজ্য-স্তরের ককাস ও প্রাথমিক নির্বাচনে ভোটাররা মনোনয়ন সম্মেলনের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করেন।
এই দিনে বেশ কিছু অঙ্গরাষ্ট্রে গভর্নর ও আইনসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরাধ, শিক্ষা, অভিবাসন, অগ্নিশস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভপাত অধিকার, এলজিবিটি অধিকার, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তন নির্বাচনী প্রচারাভিযানের প্রধান বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করা হচ্ছে।