আশুলিয়া ও সাভার: ঢাকার নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনসংখ্যার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উপজেলার আশুলিয়া থানা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এখানে অবস্থিত বহু শিল্পকারখানা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিনোদন কেন্দ্র ঢাকা মহানগরীর জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন: আশুলিয়া থানা সাভার উপজেলার অন্তর্গত এবং ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার অধীনে পড়ে। থানাটির আয়তন ১৪৮.৬৩ বর্গ কিলোমিটার। আশুলিয়া থানার আওতায় পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে: শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া, ইয়ারপুর এবং আশুলিয়া। আশুলিয়া ইউনিয়নের আয়তন ২৬.১০ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা ও সাক্ষরতা: ১৯৯১ সালের লোকগণনার তথ্য অনুসারে, আশুলিয়া ইউনিয়নের জনসংখ্যা ছিল ২১,১৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। ইউনিয়নে ২৮টি গ্রাম এবং ২৩টি মৌজা রয়েছে। আশুলিয়া ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ২৫.৫%।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড: আশুলিয়া ও সাভার অঞ্চল ব্যাপক শিল্পায়নের জন্য পরিচিত। এখানে বহু শিল্পকারখানা, বিশেষ করে তৈরি পোশাক কারখানা, স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতসহ অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানও এই এলাকায় কাজ করে। আশুলিয়া থানার আওতাধীন সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে মোট ১৮৬৩টি শিল্পকারখানা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য স্থান: আশুলিয়ার জলাভূমি নৈসর্গিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এবং প্রমোদ ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয়। এছাড়াও ঢাকাবাসীদের কাছে জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হলো ফ্যান্টাসি কিংডম এবং নন্দন পার্ক। বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও আশুলিয়া থানায় অবস্থিত।
শিল্প অস্থিরতা: সম্প্রতি শ্রমিকদের বোনাস ও টিফিন বিল বৃদ্ধি, নারীদের সমানুপাতিক নিয়োগ, এবং আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ছাঁটাই না করার দাবিতে সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। এর ফলে অনেক কারখানা বন্ধ ছিল, যদিও পরবর্তীতে বেশিরভাগ কারখানাই পুনরায় চালু হয়েছে।
আরও তথ্যের জন্য: আশুলিয়া ও সাভার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আপনাকে উন্নত তথ্য দিয়ে পুনরায় আপডেট করব।