আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান: একজন প্রভাবশালী ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ। ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার বেড়তলা গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব এবং কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শায়খুল হাদিস এবং জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৭৩ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে বিরাসার ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা, হাটহাজারী মাদ্রাসা এবং কাতারেও তিনি শিক্ষকতা ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় শায়খুল হাদিস হিসেবে যোগদান করেন এবং একই বছর জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস হিসেবে কর্মরত আছেন। সুফিবাদে তিনি শাহ আহমদ শফীর খলিফা।
২০২১ সালের ২ নভেম্বর তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২৯ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালে স্থায়ী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে মন্তব্য করে থাকেন। তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড প্রায়শই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে উল্লেখ্য যে, এখানে প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই লেখাটি লিখিত হয়েছে এবং আরো বিস্তারিত তথ্যের অভাবে লেখাটি সম্পূর্ণ হতে পারেনি। পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়ার পর আমরা লেখাটি আপডেট করব।