আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগার, কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক কারাগার, যা ব্রিটিশ শাসনামলে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বন্দি রাখার জন্য বিখ্যাত ছিল। ১৯০৬ সালে আদিগঙ্গার তীরে নির্মিত এই কারাগারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরু, বিধানচন্দ্র রায়, চিত্তরঞ্জন দাস, অরবিন্দ ঘোষ, বারিন ঘোষ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দীনেশ গুপ্তসহ অসংখ্য বিপ্লবী ও রাজনৈতিক নেতা বন্দি ছিলেন। এখানে আলিপুর জেল প্রেসও অবস্থিত ছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটি 'আলিপুর জেল মিউজিয়াম' হিসাবে উন্মুক্ত করে। মিউজিয়ামে ফাঁসির মঞ্চ, বিভিন্ন কারাকক্ষ, হাসপাতাল, 'নেতাজি ভবন', 'নেহরু ভবন' সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। এছাড়াও, কলকাতা পুলিশ জাদুঘর এই জাদুঘরের আওতায় এসেছে। মিউজিয়ামটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই কারাগারের ইতিহাস ব্রিটিশ শাসনামলের রাজনৈতিক বন্দীদের জীবন, তাদের সংগ্রাম এবং অত্যাচারের কথা বলে। কারাগারটির স্থাপত্য প্যানঅপটিকন শৈলীতে নির্মিত, যাতে বন্দিদের ওপর সর্বদা নজরদারি করা যেত। বিভিন্ন শ্রেণীর বন্দিদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা ছিল। ইউরোপীয় বন্দিদের জন্য আলাদা ও আরামদায়ক ব্যবস্থা ছিল। স্বাধীনতার পর কারাগারে শিক্ষাকেন্দ্র 'পাঠভবন' ও স্থাপিত হয়। আলিপুর জেল মিউজিয়াম এখন কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র।
আলিপুর কারাগার
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯০৬ সালে আদিগঙ্গার তীরে নির্মিত
- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বন্দি রাখা হতো
- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরুসহ অনেক বিপ্লবী বন্দি ছিলেন
- ২০১৯ সালে বন্ধ করে 'আলিপুর জেল মিউজিয়াম' হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়
- ঐতিহাসিক স্থাপনা ও কলকাতা পুলিশ জাদুঘর অবস্থিত
গণমাধ্যমে - আলিপুর কারাগার
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
এখানে পিকে হালদার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।