আর্থিক সাহায্য বাংলাদেশে বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওয়া যায়। এই সাহায্যের ধরণ, প্রদানকারী এবং প্রাপকের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে। কিছু প্রধান উৎস হল সরকারী তহবিল, বেসরকারী সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত দান।
সরকারী তহবিল: বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা প্রকল্প পরিচালনা করে। এতে দরিদ্র ও অসহায়দের, মেধাবী কিন্তু অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্থদের এবং অন্যান্য বিশেষ প্রয়োজনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সাহায্য পান। এই তহবিলের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও আবেদন প্রক্রিয়া থাকে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট সরকারী ওয়েবসাইট বা অফিস থেকে সংগ্রহ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্যোগ এবং বিভিন্ন সমস্যার সময় সাহায্য পাওয়া যায়।
বেসরকারী সংস্থা: অনেক বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) বিভিন্ন কারণে আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। এগুলির কাজের ক্ষেত্র ও সাহায্যের মাধ্যম বিভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বেসরকারী সংস্থা সাহায্য প্রদান করে। এদের সাহায্যের জন্য প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন।
দাতব্য প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশে অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা দান ও অনুদানের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। এদের ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছায়।
ব্যক্তিগত দান: অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও দান এবং অনুদানের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। এই ধরনের সাহায্য অনিয়মিত ও প্রত্যাশিত নয়।
আর্থিক সাহায্যের জন্য যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে। অনেকেই আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট দলিলপত্র প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।