আরিফা জেসমিন

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:০৮ এএম

আরিফা জেসমিন: একজন শিক্ষিকা থেকে কোটিপতির স্ত্রী

নাটোরের সর্বকনিষ্ঠ সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী হিসেবে আরিফা জেসমিন বেশ আলোচনায় এসেছেন। তার জীবনের ধারাবাহিকতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

আরিফা জেসমিন কর্মজীবন শুরু করেন নাটোরের সিংড়া সদরের দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে, তিনি দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজে মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ছিল অত্যন্ত সামান্য; ১৫ শতক জমি, ৫০,০০০ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স, ১০,০০০ টাকা নগদ, ১০ ভরি সোনা, এবং কিছু ঘরোয়া ইলেক্ট্রনিক্স।

মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার সম্পদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তিনি ভিশন বিল্ডার্স লিমিটেড কোম্পানির ৮০% শেয়ারের মালিক, ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, ১০৩ ভরি সোনা, এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নগদ অর্থ ও ব্যাংক ব্যালেন্সের অধিকারী। তিনি ৭৬২ শতক জমির মালিক, যার মধ্যে ৩০০ শতক অকৃষি জমি সিংড়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

এই ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে তার স্বামী জুনাইদ আহমেদ পলকের রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে আরিফা জেসমিনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তিনি অন্যান্য সম্পদ উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন, কিন্তু ঠিক কীভাবে এবং কার কাছ থেকে এসব সম্পদ পেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানি লন্ডারিং এর মামলায় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। আরিফা জেসমিনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক পর্যন্ত কর্মজীবন এবং তার সম্পদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণ বিস্তারিত জানার জন্য অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন। আমরা আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে আরও তথ্য জানাতে পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আরিফা জেসমিন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী।
  • তিনি প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
  • পরে তিনি দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজে মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে কাজ করেন।
  • কিছু বছরের মধ্যেই তার সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে।
  • দুদক তাকে মানি লন্ডারিং এর মামলায় জড়িত বলে উল্লেখ করেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।