আব্দুল জাব্বার

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ এএম

আব্দুল জব্বার নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত, তাই তাদের সঠিকভাবে শনাক্তকরণের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। তবে, প্রদত্ত লেখা থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে, আব্দুল জব্বার নামের তিনটি প্রধান ব্যক্তি সম্পর্কে উল্লেখ আছে।

১. আব্দুল জব্বার (গায়ক): এই আব্দুল জব্বার ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮-এ কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩০ আগস্ট, ২০১৭-এ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনেক উদ্বুদ্ধকরণ গান গেয়েছিলেন। তার গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান তিনটি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তিনি একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ওস্তাদ ওসমান গনি ও ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন। তার প্রথম মৌলিক গানের অ্যালবাম 'কোথায় আমার নীল দরিয়া' ২০১৭ সালে মুক্তি পায়।

২. আব্দুল জব্বার (ভাষা আন্দোলনকর্মী): এই আব্দুল জব্বার ১১ অক্টোবর, ১৯১৯-এ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনে নিহত হন। তাকে বাংলাদেশে শহীদ হিসেবে সম্মানিত করা হয়।

৩. মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী (ইসলামি পণ্ডিত): এই আব্দুল জব্বার ১৯৩৭ সালে বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮ নভেম্বর ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, হানাফি সুন্নি আলেম, লেখক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • আব্দুল জব্বার (গায়ক) ১৯৩৮-২০১৭ সালে বাংলাদেশী সংগীত জগতের একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
  • তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন গানের জন্য বিখ্যাত।
  • তিনি একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
  • আব্দুল জব্বার (ভাষা আন্দোলনকর্মী) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিহত হন।
  • মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী ১৯৩৭-২০১৬ সালে বাংলাদেশের একজন ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আব্দুল জাব্বার

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আব্দুল জাব্বার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ফ্লাইট চালু রাখার আবেদন করেছেন।