আব্দুর রকিব

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৫৭ এএম

আব্দুর রকিব নামটি একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অথবা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলো বিভিন্ন আব্দুর রকিব-এর সাথে সম্পর্কিত এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য স্থাপনে সাহায্য করবে।

১. আব্দুর রকিব খন্দকার:

এ আর খন্দকার নামে পরিচিত আব্দুর রকিব খন্দকার (১ মার্চ ১৯৩৩ – ২৫ আগস্ট ২০১০) বাংলাদেশ পুলিশের অষ্টম মহাপরিদর্শক ছিলেন। মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী তিনি উত্তর শেখর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেন। পরে নটরডেম কলেজ থেকে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (অর্থনীতি) ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে তিনি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন জেলায় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি খুলনার পুলিশ সুপার ছিলেন এবং পরে পাকিস্তানে বদলি হওয়ার পর কোনোরকমে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক এবং অবশেষে মহাপরিদর্শক পদে উন্নীত হন। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিও ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি ব্যাংককে মৃত্যুবরণ করেন।

২. আব্দুর রকিব মন্টু:

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবং সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। তিনি বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি তার মামার জমি দখল করে ‘টর্চার সেল’ তৈরি করেছেন। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের পানিশাইল এলাকায় তার সম্পত্তিতে জানালাবিহীন ৭টি ঘরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে রাতের বেলায় কালো গাড়িতে করে লোকজন নিয়ে আসতেন এবং ভোরে চলে যেতেন মন্টু। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা মামার জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে।

৩. মাওলানা আব্দুর রকিব:

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং ভারতের সাথে তার সম্পর্কের উপর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য প্রদান করেছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে সহায়তা করার আহবান জানিয়েছেন।

৪. আব্দুর রকিব আলী:

একজন সাবেক পাকিস্তানি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার।

আব্দুর রকিব (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

• আব্দুর রকিব খন্দকার বাংলাদেশ পুলিশের অষ্টম মহাপরিদর্শক ছিলেন।

• আব্দুর রকিব খন্দকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।

• আব্দুর রকিব মন্টু বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য।

• আব্দুর রকিব মন্টুর বিরুদ্ধে টর্চার সেল তৈরির অভিযোগ রয়েছে।

• মাওলানা আব্দুর রকিব ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান।

• আব্দুর রকিব আলী একজন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

এই নিবন্ধে আব্দুর রকিব নামের বিভিন্ন ব্যক্তি, তাদের পেশা, কাজ এবং সাথে সম্পর্কিত ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম পার্টি

আব্দুর রকিব খন্দকার, আব্দুর রকিব মন্টু, মাওলানা আব্দুর রকিব, আব্দুর রকিব আলী, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ফাদার মার্টিন, শহীদ আবদুস সালাম, নুরুল ইসলাম কলা মিয়া, আব্দুল মালেক, আজিজুর রহমান প্রান্ত, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুব উদ্দিন, তৌফিক এলাহী, মেজর জিয়াউর রহমান, টিক্কা খান, আব্দুল সালাম ববি, জাকির হোসেন খান, সিকান্দার আলী, মামুন মাহমুদ, আব্দুল মজিদ, নাজমুল হক, মুন্সী কবীর উদ্দিন, সামসুল হক, ফয়জুর রহমান, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নরেন্দ্র মোদী, ইন্দিরা গান্ধী, আটল বিহারী বাজপেয়ী, তজমুল আলী, জামাল মিয়া, আবুল কালাম, মইনুল ইসলাম নানু, মজর আলী, কুতুব মিয়া,

মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা, খুলনা, করাচি, ব্যাংকক, মৌলভীবাজার, রাজনগর, পানিশাইল, ফয়সালাবাদ, হাঙ্গু, পেশোয়ার, চট্টগ্রাম, বরিশাল, বগুড়া, দিনাজপুর, মেহেরপুর, যশোর, চুয়াডাংগা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, সৈয়দপুর, ব্রিকলেন, টঙ্গী

আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ পুলিশ, মহাপরিদর্শক, ক্রিকেট, আওয়ামী যুবলীগ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, টর্চার সেল, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম পার্টি, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, রাজনীতি, ক্রীড়া

মূল তথ্যাবলী:

  • আব্দুর রকিব খন্দকার বাংলাদেশ পুলিশের অষ্টম মহাপরিদর্শক ছিলেন।
  • আব্দুর রকিব মন্টু বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা এবং সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল।
  • মাওলানা আব্দুর রকিব ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান।
  • আব্দুর রকিব আলী একজন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।