আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান: একাধিক ব্যক্তি বা সংস্থার সম্ভাব্যতা
উল্লেখ্য, "আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান" নামটি একাধিক ব্যক্তি বা সংস্থার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, আমরা দুটি পৃথক ব্যক্তির বিবরণ উপস্থাপন করব যাদের নামের সাথে মিল রয়েছে।
১. মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার:
প্রদত্ত লেখা অনুসারে, আবুল বাশার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং ১৯৭১ সালে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২৯ মার্চ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং জেড ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটের গৌরীপুরে তিনি এক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে গুরুতর আহত হন। এই যুদ্ধে তার অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান (বীর উত্তম) শহীদ হন এবং পরবর্তী অধিনায়ক লিয়াকত আলী খান (বীর উত্তম) গুরুতর আহত হন।
২. বিচারপতি মো. আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান:
প্রদত্ত লেখা থেকে জানা যায়, মো. বদরুজ্জামান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি। তিনি ১৯৬৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৪ সালের ৩০ এপ্রিল জেলা আদালতের আইনজীবী হন। ১৯৯৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং ১৪ জুন ২০১২ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১২ জুন ২০১৪ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন। বিচারপতি বদরুজ্জামান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় প্রদান করেছেন।
নিম্নোক্ত তথ্যগুলি দুই ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য নয়:
- ১৯৮৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর, সৈদ্দীতে জন্মগ্রহণ করা একজন ব্যক্তির বিবরণ।
- ভারতীয় বাঙালি লেখক আবুল বাশারের বিবরণ।
- ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করা মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের বিবরণ।
- ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর ১০ তারিখে মৃত্যুবরণ করা আরেকজন আবুল বাশারের বিবরণ।
প্রদত্ত তথ্যগুলিতে একাধিক আবুল বাশারের উল্লেখ থাকায়, স্পষ্টতার জন্য অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন।