আবু আহমদ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য বিভিন্ন আবু আহমদের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হলো। প্রদত্ত তথ্য থেকে আমরা দুই জন আবু আহমদের বিষয়ে জানতে পারি : প্রথম জন মুহাম্মদের সাহাবী আবু আহমদ ইবনে জাহশ, আর দ্বিতীয় জন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ আবু আহমদ ফজলুল করিম।
আবু আহমদ ইবনে জাহশ:
মুহাম্মদের সাহাবী আবু আহমদ ইবনে জাহশের আদি নাম ছিল আবদ। তবে বয়স্ক হিসেবে তিনি সাধারণত তাঁর কুনিয়ার (উপনাম) দ্বারা পরিচিত ছিলেন। কুরআনের সূরা নিসার ৯৫ নং আয়াতে তাঁর পরিস্থিতির উল্লেখ আছে। তিনি যাহাদ ইবনে রিয়াবের পুত্র এবং আসাদ উপজাতির মক্কায় অভিবাসী ছিলেন। কুরাইশ গোত্রের হাশিম বংশের সদস্য হিসেবে মুহাম্মদের চাচাত ভাই ছিলেন। আবু আহমদ অন্ধ ছিলেন এবং তিনি 'কাউকে নেতৃত্ব না দিয়ে উপরে থেকে নীচে সর্বত্র মক্কা ঘুরে বেড়াতেন।' তিনি এবং তাঁর ভাই আবদুল্লাহ আবু বকরের আমন্ত্রণে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মুহাম্মদ যখন মদীনায় হিজরত করার আহ্বান জানান তখন মক্কা ত্যাগকারীদের মধ্যে জাহশের পরিবার ছিল। মক্কা ছেড়ে যাবার পর আবু সুফিয়ান তাদের বাড়ি বিক্রি করে অর্থের যোগান দিয়েছিলেন। মদীনায় পৌঁছে তাদের উপর হত্যার চেষ্টা হয়। বদরের যুদ্ধের আগে মুহাম্মদ মুসলমানদের মক্কা কাফেলা আক্রমণ করতে বললে আবু আহমদ ও ইবনে উম্মে মক্তুম তাদের অন্ধত্বের কারণে অজুহাত চেয়েছিলেন। ৬২৭ সালে তিনি মুহাম্মাদের বোন জয়নবের অভিভাবক ছিলেন। মক্কা জয়ের পর আবু আহমদ মুহাম্মাদকে আবু সুফিয়ানের কাছে থেকে তার বাড়ি ফিরে পাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। ৬৪১ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁর বোন জয়নবের জানাজায় তিনিই তাঁর বিছানা বাহন করেছিলেন।
আবু আহমদ ফজলুল করিম:
এই আবু আহমদ একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক ছিলেন। ১৯২৮ সালে ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জের নয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-২০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ এবং জনসাধারণ কাজ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি রেডিও, ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ২৯ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
এ দুই আবু আহমদের বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় ভবিষ্যতে আরো তথ্য জানা গেলে উপরে উল্লেখিত লেখা আপডেট করা হবে।