আবাদ

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:০৪ পিএম

আবাদ শব্দটি কৃষিকাজের সাথে সম্পর্কিত একটি প্রক্রিয়াকে বুঝায়, যেখানে ভূমি বা জমিকে কৃষিকাজের উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এটি শুধুমাত্র মাটি চাষ করাকেই নির্দেশ করে না, বরং জমির প্রস্তুতির পুরো প্রক্রিয়া, যার মধ্যে রয়েছে মাটি উচু-নিচু করা, কাদা মাটিতে লাঙল চালানো, আচড়া দিয়ে মাটি ঝাঁকানো, বেলচা, কোদাল, কাস্তে প্রভৃতি হাত-যন্ত্রের ব্যবহার এবং গরু-মহিষের সাহায্যে লাঙ্গল চালানো।

আবাদের প্রক্রিয়া সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত: প্রাথমিক আবাদ এবং মাধ্যমিক আবাদ। প্রাথমিক আবাদে জমির উঁচু-নিচু অংশগুলি সমান করা হয়, যেমন লাঙল দিয়ে চাষ করা। মাধ্যমিক আবাদে জমির উপরিভাগ আরও মসৃণ করে তোলা হয় বীজ বপনের জন্য। অনেক ক্ষেত্রে দুটি ধাপের সমন্বয় দেখা যায়।

আবাদ পদ্ধতির ধরন অনুযায়ী পৃথক পৃথক নাম রয়েছে: যেমন প্রশমন আবাদ, তীব্র আবাদ, এবং রক্ষণাত্মক আবাদ। প্রশমন আবাদে জমিতে কিছু পরিমাণ অবশিষ্ট উদ্ভিদ উপাদান রাখা হয়, যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তীব্র আবাদে কম পরিমাণ অবশিষ্ট উপাদান রাখা হয়। রক্ষণাত্মক আবাদে জমির উপর যথেষ্ট পরিমাণ অবশিষ্ট উপাদান রেখে মাটির ক্ষয়রোধ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে রক্ষণাত্মক আবাদ।

আধুনিক কৃষিকাজে আবাদ পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। কম আবাদ, এবং আবাদহীন কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে মাটির ক্ষয়রোধ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আবাদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবাদ হল কৃষিকাজের জন্য জমি প্রস্তুতের প্রক্রিয়া।
  • আবাদ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই ধরণের হয়।
  • প্রশমন, তীব্র, ও রক্ষণাত্মক – এগুলো আবাদের বিভিন্ন পদ্ধতি।
  • আধুনিক কৃষিতে কম আবাদ ও আবাদহীন পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।