আফতাবনগর

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

আফতাবনগর: ঢাকার একটি উন্নয়নশীল আবাসিক এলাকা

আফতাবনগর, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা, যা রামপুরায় অবস্থিত এবং ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড (ইএইচএল) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। জহুরুল ইসলাম সিটি নামেও পরিচিত এই এলাকাটি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হলেও এখানে এখনও সবুজের ছোঁয়া রয়েছে। শান্ত পরিবেশ, পাখির কলতান এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যের জন্য আফতাবনগর অনন্য। সন্ধ্যার পর খাবারের গাড়ি ও চা-স্টলগুলো এলাকাটিকে উৎসবমুখর করে তোলে। শরৎকালে এখানে কাশফুলের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।

ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রবেশ পথ:

আফতাবনগর বাড্ডা থানার আওতায় পড়ে। উত্তরে মেরুল-বাড্ডা, দক্ষিণে রামপুরা থানা অবস্থিত। রামপুরা ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হলে জহুরুল ইসলাম সিটি লেখা গেট দেখা যাবে, সেই গেট দিয়েই আফতাবনগরে প্রবেশ করা যায়।

উল্লেখযোগ্য স্থান:

  • মেরাদিয়া হাট: আফতাবনগরের পাশে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় বাজার। এখানে সবজি, মাংস এবং মুদি সামগ্রী পাওয়া যায়।
  • আফতাবনগর পশুর হাট: ঢাকার বৃহৎ গরুর হাট।
  • খাল: হাতিরঝিলের জলাশয়কে বালু নদীর সাথে সংযুক্ত করে এই খালটি আফতাবনগরকে বনশ্রী থেকে পৃথক করে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে এ দুটি এলাকা সংযুক্ত।
  • ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়: আফতাবনগরের কাছে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়।

জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:

আফতাবনগরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০০,০০০। এলাকাটিতে আবাসিক কমপ্লেক্স, অ্যাপার্টমেন্ট এবং গেটেড কমিউনিটি রয়েছে। মেরাদিয়া হাট ও পশুর হাটের কারণে এলাকার অর্থনীতি গতিশীল।

পরিবেশ ও অবকাঠামো:

আফতাবনগরের অবকাঠামো তুলনামূলকভাবে আধুনিক। আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে পার্ক, খেলার মাঠ ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। তবে, সবুজায়নের আরও বিকাশে অবদান দেওয়ার প্রয়োজন ।

সুবিধা:

আফতাবনগরে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং সেন্টার এবং রেস্তোরাঁ থাকায় প্রয়োজনীয় সুবিধা উপলব্ধ।

যোগাযোগ ব্যবস্থা:

আফতাবনগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বাস, সিএনজি, উবার এবং পাঠাওয়ের মাধ্যমে ঢাকার অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত এই এলাকাটিতে অটোরিক্সা ও উপলব্ধ।

উল্লেখ্য: আফতাবনগর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আফতাবনগর ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা
  • ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত
  • রামপুরায় অবস্থিত
  • মেরাদিয়া হাট ও আফতাবনগর পশুর হাট এখানে অবস্থিত
  • সবুজ পরিবেশ ও শান্ত পরিবেশের জন্য পরিচিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।