আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি): আফগানিস্তানের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ শাসক সংস্থা। ১৯৯৫ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট ফেডারেশন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়, পরে এর নামকরণ করা হয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কাবুলে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী সদস্য (২০১৩ সাল থেকে) এবং পরে পূর্ণ সদস্য (২০১৭ সাল)। ২০০১ সাল থেকে আইসিসির অনুমোদিত সদস্য ছিল।
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি এসিবির কার্যক্রমের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা এবং যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকায় আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচ দেশের বাইরে খেলে থাকে। শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
আফগানিস্তানের 'ক্রিকেটের রাজধানী' খ্যাত জালালাবাদ শহরে, কাবুলে, এবং কান্দাহারে ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ চলছে। ২০১০ সালে, এসিবির চেয়ারম্যান দুই বছরের মধ্যে ৩৪টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড তৈরির ঘোষণা দেন।
এসিবি আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল গঠন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। ২০০১ সালে দলটি গঠিত হয় এবং ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে। ২০০৮ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লীগে অংশ নেয় এবং ২০১০ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত এসিসি ট্রফিতে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। আফগানিস্তানের নারী জাতীয় ক্রিকেট দল ২০১০ সালে গঠিত হয়।
তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর, আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে পুরুষ দলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তালিবানের অনুমতি ছিল। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আফগানিস্তান দল উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়। তারা ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে।
এসিবির উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ঘরোয়া লিগের প্রসার, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এবং স্টেডিয়াম নির্মাণ। আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উত্থান ও তার সাফল্যে এসিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।