২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর ঢাকায় যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, তার মধ্যেই ঢাকার বনানীতে বাসিন্দারা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরাই গ্রহণ করেন। বনানী সোসাইটির ব্যানারে ৬ আগস্ট থেকে প্রতি রাতে এলাকার বাসিন্দারা পাহারা দিতে শুরু করেন। এই পাহারা ব্যবস্থার সাথে জড়িত ছিলেন বনানীর স্থায়ী বাসিন্দা আপন আহসান, একজন সংস্কৃতিকর্মী। তিনি জানান, শুরুতে ৪-৫ জনের উদ্যোগে শুরু হলেও এই সংখ্যা খুব দ্রুত ১০০ থেকে ১৫০-এ পৌঁছে যায়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকলেই এগিয়ে এসেছিলেন। প্রথম দিন কিছু দুর্ঘটনা হলেও পরে সেগুলো সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। রাতে পাহারায় যারা অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, তারা আগে গ্রুপে জানিয়ে দিতেন, একটা ফর্ম পূরণ করতেন, পরিচয় যাচাইয়ের পর অনুমতি পেতেন। সোসাইটির উদ্যোগের বাইরেও বিভিন্ন বাসা থেকে পাহারা দলের জন্য খাবার আনা হত। এই উদ্যোগে ছেলে, মেয়ে, তরুণ, মাঝবয়সী সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধুমাত্র পাহারার বাইরেও তারা ট্রাফিক সিস্টেম, নো-হর্ন ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপণ, দেয়ালচিত্র নিয়ে নানা উদ্যোগ নিয়ে ভাবছিলেন। এই ঘটনাটি ঢাকার অন্যান্য এলাকার ঘটনার সাথে মিলেমিশে এক সামাজিক ঐক্যের উদাহরণ তুলে ধরে। তবে এই পাহারা ব্যবস্থা সম্ভবত সাময়িক ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে এর আর প্রয়োজন হবে না। তবে সকলের মধ্যে একসঙ্গে থাকার যে সুবিধা তৈরি হয়েছিল, তা বজায় রাখার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রাখা উচিৎ।
আপন আহসান
আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:১৯ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ৫ আগস্টের পর ঢাকায় অস্থিরতার মধ্যে বনানী বাসিন্দারা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
- বনানী সোসাইটির ব্যানারে ৬ আগস্ট থেকে রাতে পাহারা দেওয়া শুরু হয়।
- আপন আহসান, একজন সংস্কৃতিকর্মী, এই উদ্যোগের সাথে জড়িত ছিলেন।
- শুরুতে ৪-৫ জনের উদ্যোগে শুরু হলেও পাহারা দলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- পাহারার পাশাপাশি ট্রাফিক সিস্টেম, নো-হর্ন ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপণ, দেয়ালচিত্র নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।