আনোয়ার পারভেজ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪১ পিএম

আনোয়ার পারভেজ: বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী সুরকার

আনোয়ার পারভেজ (২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪২ - ১৭ জুন, ২০০৬) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং শব্দসৈনিক ছিলেন। তার সুরারোপিত গানগুলি বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং এখনও জনপ্রিয়। তিনি মোট দুই হাজারেরও বেশি গানে সুর দিয়েছেন এবং প্রায় ২০০টি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

তার প্রাথমিক সঙ্গীত জীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম বেতারে। ষাটের দশকের প্রথম দিকে তিনি চট্টগ্রাম বেতারে সুরকার হিসেবে যোগ দেন এবং পরে ঢাকায় এসে বিভিন্ন মাধ্যমে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত 'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানের সুর করেছিলেন, যা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এছাড়াও, শাহনাজ রহমতুল্লাহর কণ্ঠে 'একতারা তুই দেশের কথা' এবং 'একবার যেতে দে না' গান দুটিও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল।

স্বাধীনতার পর, তিনি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র 'রংবাজ'-এর সুরারোপ করেছিলেন, যার গানগুলিও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তার সুরকৃত 'দি রেইন' (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের সঙ্গীতও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।

আনোয়ার পারভেজ দীর্ঘদিন প্রস্টেট ক্যান্সারে ভোগেন এবং ২০০৫ সালে তার রোগটি হৃৎপিণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ২০০৬ সালের ১৭ জুন ঢাকার জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনে মারা যান। তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার সঙ্গীতের অবদানের জন্য ২০০৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।

আনোয়ার পারভেজের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন তার বোন, খ্যাতিমান গায়িকা শাহনাজ রহমতুল্লাহ এবং ভাই, চলচ্চিত্র অভিনেতা জাফর ইকবাল। তিনি জেসমিন পারভেজের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন।

বিবিসির একটি জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের মধ্যে আনোয়ার পারভেজের তিনটি গান স্থান পেয়েছে।

আনোয়ার পারভেজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি এবং শীঘ্রই আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আনোয়ার পারভেজ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
  • তিনি ২০০৬ সালের ১৭ জুন মারা যান।
  • তার সুরকৃত 'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানটি মুক্তিযুদ্ধের একটি জনপ্রিয় গান।
  • তিনি প্রায় ২০০টি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
  • তাকে ২০০৭ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।