ভোলার লালমোহন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিলনকে ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থের বিশাল অংশ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরের ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেন্যান্স এবং অন্যান্য বরাদ্দ থেকে প্রায় এক কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের ৩০-৪০% নিয়ে নিতেন, এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের অজান্তেই অর্থ আত্মসাৎ করতেন। তার আত্মসাৎকৃত অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিগত সরকারের রাজনৈতিক তহবিলে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়াও, লালমোহনে যোগদানের পর তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনগুলো আগের দলীয় কর্মীদের গোপন নিলামে ভেঙে নিতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অনিয়মের ফলে অনেক স্কুলে ক্লাস করার জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে এবং ২০২২ সালে কালমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এমনকি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, আক্তারুজ্জামান মিলন শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন নামে অর্থ আদায় করতেন।
অভিযোগের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও, অদৃশ্য নির্দেশে তদন্ত থমকে যায়। আক্তারুজ্জামান মিলন লালমোহনের আগেও অন্যত্র চাকরি করেছেন এবং সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তবে, নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে তিনি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো নিয়ে লালমোহন উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।