চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে একটি কার্গো জাহাজে সংঘটিত সাতটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হলেন আকাশ মণ্ডল ইরফান। র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর, তদন্তে জানা যায় যে, জাহাজের মাস্টারের প্রতি ক্ষোভ থেকে ইরফান প্রথমে মাস্টারকে হত্যা করেন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য সদস্যদেরও হত্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি জাহাজের কর্মীদের উপর অত্যাচার, বেতন-ভাতা ও ছুটির অভাবের কারণে মাস্টারের প্রতি ক্ষোভ পোষণ করতেন। ঘটনার দিন রাতের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে ঘুম পাড়ানোর পর ইরফান এই নৃশংস কাজটি করেছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইরফান বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার হন এবং তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আহত জুয়েল নামে একজন জাহাজের কর্মী তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন। তদন্তকারী দল জাহাজ থেকে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা হলেন জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইরফানের বাবা জগদীশ মণ্ডল মারা যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ইরফান তার বড় ভাই বিধান মণ্ডল (যিনি ধর্মান্তরিত হয়ে আবির হোসেন নামে পরিচিত) এর সাথে সর্বাংশে মিলেমিশে বসবাস করত না। তিনি ২০১৮ সালে এক মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেম করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ২০২২ সালে আবার এলাকায় ফিরে আসে। একটি মামলায় জড়িত ছিলেন, কিন্তু কাউকে মারধর বা আঘাত করার কোনো ঘটনা তাঁর বিরুদ্ধে ছিল না।
আকাশ মন্ডল ইরফান
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫৮ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ইরফান গ্রেপ্তার
- বেতন-ভাতা ও ছুটির অভাবের কারণে জাহাজের মাস্টারের প্রতি ক্ষোভ ছিল ইরফানের
- ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাবার খাওয়ানোর পর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়
- র্যাব ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করে
- জাহাজ থেকে রক্তাক্ত অস্ত্র ও অন্যান্য প্রমাণ উদ্ধার
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - আকাশ মন্ডল ইরফান
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
আকাশ মন্ডল ইরফানকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।