অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) হল এমন কিছু যৌগ যা আমাদের শরীরের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এগুলি মুক্ত র্যাডিক্যাল নামক অস্থির অণুগুলির সাথে লড়াই করে, যা শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার ফলে তৈরি হয় এবং কোষের ক্ষতি করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র্যাডিক্যালের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এদের নিরপেক্ষ করে।
প্রাথমিকভাবে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শব্দটি বিশেষভাবে একটি রাসায়নিককে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল যা অক্সিজেনের ব্যবহারকে বাধা দেয়। কিন্তু বিস্তৃত অর্থে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রেডিক্যাল নিস্ক্রিওকারি (বিক্রিয়াশীল অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন প্রজাতি (ROS/RNS), হাইড্রোজেন দাতা, ইলেকট্রন দাতা, পারক্সাইড ডিকম্পোজার, সিঙ্গলেট অক্সিজেন নিষ্ক্রিয়কারী, এনজাইম নিষ্ক্রিয়কারী, সিনার্জিস্ট এবং মেটাল-নিস্ক্রিওকারি হিসাবে কাজ করতে পারে এমন অণু এজেন্টগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুটি প্রধান পদ্ধতিতে কাজ করে: প্রথমত, একটি চেইন-ব্রেকিং মেকানিজমের মাধ্যমে, যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালকে একটি ইলেকট্রন দান করে এবং দ্বিতীয়ত, ROS/RNS উৎপাদনে জড়িত অণুগুলির সাথে বিক্রিয়া করে।
গ্লুটাথিওন, ইউবিকুইনল এবং ইউরিক অ্যাসিড শরীরের স্বাভাবিক বিপাকের সময় উৎপাদিত হয়। অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি এবং বিটা-ক্যারোটিন, খাবারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। শরীরের কিছু এনজাইমও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যেমন সুপারঅক্সাইড ডিসমিউটেজ (SOD) এবং ক্যাটালেস।
অক্সিড্যান্ট-অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিস্টেমের ভারসাম্যহীনতা অনেক মানব রোগের সাথে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে আরও গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।