অস্বাস্থ্যকর: একটি বহুমুখী ব্যাখ্যা
‘অস্বাস্থ্যকর’ শব্দটি বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয় এবং এর অর্থ নির্দিষ্ট প্রসঙ্গের উপর নির্ভর করে। এই প্রবন্ধে আমরা বিভিন্ন প্রসঙ্গে ‘অস্বাস্থ্যকর’-এর ব্যাখ্যা ও প্রভাব তুলে ধরব।
খাদ্য: অনেক ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বলা হয়। ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, উচ্চ লবণযুক্ত খাবার ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের অন্তর্গত। এই ধরনের খাবার স্থূলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, পাচনতন্ত্রের সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ২০২২ সালের বাংলাদেশ জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য জরিপ অনুসারে, ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের প্রায় ৫০% অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) এই জরিপটি পরিচালনা করে। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ খালেদা ইসলাম ও বিএসএমএমইউ'র শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ টি এম আতিকুর রহমান, এ ধরনের খাবারের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করেছেন।
বায়ু: বায়ু দূষণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) -এর তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহর অনেক দিন ধরেই বায়ুদূষণের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকার একিউআই স্কোর ২০৯ ছিল যা 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, ভারতের দিল্লি ও অন্যান্য শহরগুলিরও বায়ু প্রায়শই অস্বাস্থ্যকর হয়।
অন্যান্য: ‘অস্বাস্থ্যকর’ শব্দটি অন্যান্য প্রসঙ্গেও ব্যবহৃত হয়, যেমন অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গগুলি বিস্তারিত আলোচনার জন্য যথেষ্ট তথ্য প্রাপ্ত হয়নি। আমরা আপনাকে আগামীতে এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রদান করব।
উপসংহারে, ‘অস্বাস্থ্যকর’ শব্দের অর্থ ও প্রভাব ব্যাখ্যা করা প্রসঙ্গের উপর নির্ভরশীল। খাদ্য ও বায়ু দূষণের মতো বিষয়গুলি স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।