অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক: একজন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক, গবেষক, ঐতিহাসিক, অনুবাদক, সমাজবিশ্লেষক, সাহিত্য সমালোচক এবং রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। তিনি ১৯৪০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুহাম্মদ আবদুল হাকিম এবং মাতার নাম জাহানারা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘ চার দশক শিক্ষকতা করেছেন এবং বাংলা বিভাগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তার লেখা একুশটিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার রচনাবলীতে রাষ্ট্র, সমাজ, মানুষ, রাজনীতি, দর্শন, ইতিহাস ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণামূলক আলোচনা রয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করে। তার স্ত্রীর নাম ফরিদা প্রধান এবং দুই সন্তানের নাম যথাক্রমে শুচিতা শরমিন এবং ফয়সল আরেফিন দীপন। মেয়ে শুচিতা শরমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ছেলে ফয়সল আরেফিন দীপন জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন এবং ২০১৫ সালে তাকে হত্যা করা হয়। অধ্যাপক ফজলুল হকের লেখা ও বক্তব্যে সৎ চিন্তা এবং শুভবোধের জাগরণের প্রতি আহ্বান রয়েছে। তিনি 'চার্বাক মতাবলম্বী' লোকায়ত নামক একটি মননশীল পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তিনি ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত স্বদেশ চিন্তা সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৩৭ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৪০ সালে কিশোরগঞ্জে জন্ম
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে চার দশক অধ্যাপনা
- একুশটির অধিক গ্রন্থ রচনা
- ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার
- রাষ্ট্রভাষা বাংলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক
- ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমির সভাপতি নিযুক্ত
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক জাতীয় সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন।