অডিট কিংবা অডিটিং একটি প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ব্যাপারগুলোর একটি। অ্যাকাউন্টিংয়ে আগ্রহ ও দক্ষতা থাকলে আপনি এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন। জটিল এ প্রক্রিয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা এখানে করা সম্ভব নয়। বরং পুরো প্রক্রিয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক একটা ধারণা পাবেন এবারের লেখায়।
কোন আর্থিক কর্মকাণ্ড প্রয়োজনীয় নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য পরিচালিত নিয়মমাফিক ও নিরপেক্ষ মূল্যায়নকে অডিট বলে। এ কাজের প্রক্রিয়া পরিচিত অডিটিং হিসাবে।
সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট – সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে অডিটিং পরিচালিত হয়।
অডিটরের ধরনের ভিত্তিতে এটি দুই প্রকার।
উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে অডিট কয়েক প্রকার হতে পারে। বোঝার সুবিধার্থে এখানে বাংলাদেশ সরকারের মহা হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত অডিটকে উদাহরণ হিসাবে ধরা যাক। এ কার্যালয় আমাদের দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অডিটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে। ২২টি খাতে তিন ধরনের অডিটিং পরিচালনা করা হয় এর মাধ্যমে –
আপনি যদি অডিটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে পেশা বাছাইয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যেমন:
এছাড়া, সরকারি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করতে চাইলে বিসিএস অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারে যাবার চেষ্টা করতে পারেন।
অডিটিংভিত্তিক যে পেশাতেই আপনি যান না কেন, কিছু ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা থাকা জরুরি। যেমন:
শুধু অডিটিং নিয়ে আলাদা কোন স্নাতক বা মাস্টার্স ডিগ্রি নেই। তবে এ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় কাজগুলো শিখতে পারবেন এমন কিছু বিষয় হলো:
উপরের বিষয়গুলোতে সরাসরি ডিগ্রি বা কোর্স নেবার ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের দেশে। যেমন: চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াশোনার জন্য ইন্সটিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ সহায়তা দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে আপনার আরো কোন প্রশ্ন রয়েছে কি? থাকলে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানিয়ে দিন। আপনাকে সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে আমাদের।