বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সালের বসুন্ধরা সিটি, ২০১০ সালের নিমতলী, ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টা থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড—এই সব ঘটনায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হতাহতের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও আলোচনায় এসেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে রয়েছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ, শর্টসার্কিট, ইলেকট্রিক চুলা, গ্যাস, মাটির চুলা, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তদন্তের পর কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরণের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব, ব্যবসায়ী শ্রেণী এবং জনসাধারণের অসচেতনতা এক্ষেত্রে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গুদাম এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অগ্নি নিরাপত্তার অভাব, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবহার, অসাবধানতা এই সব কারণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সারা দেশে ১১৯টি বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে, এতে ৬ জন নিহত হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আগুন নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে অত্যন্ত জরুরী। তবে জনসাধারণের সচেতনতা, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা কমানো সম্ভব।
অগ্নিকান্ড
আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ২০০৯ সালে বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিকান্ড
- ২০১০ সালে নিমতলী ট্রাজেডি
- ২০১৯ সালে চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ড
- ২০২৩ সালের বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড
- অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব
- জনসাধারণের অসচেতনতা
- পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গুদামের ঝুঁকি
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - অগ্নিকান্ড
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
সচিবালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
সচিবালয়ে একটি ব্যাপক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।