কিটকাট: একটি বিশ্ববিখ্যাত চকলেট বারের ইতিহাস
১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ডের ইয়র্কের রাউন্ট্রি’স কোম্পানি কর্তৃক তৈরি কিটকাট চকলেট বার আজ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। মূলত ‘রাউন্ট্রি’স চকলেট ক্রিস্প’ নামে পরিচিত হলেও ১৯৩৭ সালে এর নাম পরিবর্তন করে ‘কিটকাট চকলেট ক্রিস্প’ রাখা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটি সংক্ষেপে ‘কিটকাট’ নামে পরিচিত হয়। কিটকাট চকলেটের চারটি ‘ফিঙ্গার’যুক্ত মূল ডিজাইনটি একটি রাউন্ট্রি’স কর্মীর পরামর্শের ফলে তৈরি হয় যাতে একজন শ্রমিক তার লাঞ্চ বাক্সে সহজেই বারটি রাখতে পারে।
১৯৫৭ সালে ‘Have a break, have a Kit Kat’ এই স্লোগানটি চালু হলে কিটকাটের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। ১৯৮৮ সালে রাউন্ট্রি’স কোম্পানীকে নেসলে অধিগ্রহণ করে এবং কিটকাটের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। যদিও ১৯৭০ সাল থেকে হার্সে’স কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিটকাট বারের লাইসেন্সধারী। বিভিন্ন দেশে কিটকাটের স্বাদ ও রূপ বৈচিত্র্যময়; জাপানে তো এর ৩০০ এর বেশি স্বাদ পাওয়া যায়! ইউকেতে ১৯৯৬ সালে প্রথম কিটকাট অরেঞ্জের আবির্ভাব ঘটে।
কিটকাটের বিভিন্ন বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে: মিল্ক চকলেট, ডার্ক চকলেট, হোয়াইট চকলেট, মিন্ট এবং ডার্ক চকলেট, বার্থডে কেক, লেমন ক্রিস্প এবং চকলেট ফ্রস্টেড ডোনাট এবং মৌসুমি বিশেষ কিছু কিছু স্বাদ। কিটকাট ভেগান নয় তবে এটি শাকাহারীদের জন্য উপযুক্ত। গ্লুটেন মুক্ত নয় কারণ এতে গম রয়েছে।
২০১৩ সালে গুগল এর অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের একটি ভার্সনের নাম ‘কিটকাট’ রাখে। নেসলে’র সাথে অর্থ ছাড়াই একটি চুক্তির মাধ্যমে এই নাম ব্যবহারের অনুমতি গ্রহণ করা হয়।
আজ কিটকাট বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬টি দেশে উৎপাদিত হয় এবং একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ড হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এটি কেবল একটি চকলেট বার নয়, বরং একটি সংস্কৃতি, স্মৃতি এবং বিশ্বব্যাপী প্রিয় খাবার।