৪৩তম বিসিএস: নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বিতর্কের ইতিহাস
বাংলাদেশে ৪৩তম বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ কিছু বিতর্ক ও ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ২০২০ সালের ৩০শে নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া ২০২৩ সালের ২৬শে ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বলে মনে হলেও, পরবর্তী ঘটনা প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে।
প্রাথমিক পরীক্ষায় ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। ২০২২ সালের ২০শে জানুয়ারি ফলাফল প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় জুলাইয়ে। ৯ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
পিএসসি (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) দুই হাজার ৮০৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু ১৫ অক্টোবর প্রথমে প্রকাশিত নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে দুই হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ৯৯ জনের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। পরবর্তীতে, ৩০শে ডিসেম্বর আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও ১৬৮ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়।
সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোট ১৮৯৬ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন। তাদেরকে ১৫শে জানুয়ারির মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগদান না করলে তাদের নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক প্রার্থী অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে পুনর্বিবেচনার সভা এবং আবেদন পুনর্বিবেচনার ব্যবস্থা করেছে। এই ঘটনাটি ৪৩তম বিসিএসকে বিতর্কিত এবং জটিল করে তুলেছে।