যুক্তরাষ্ট্রের ১৪তম সংশোধনী এবং জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই জন্মগত নাগরিকত্বের বিরোধিতা করে আসছেন এবং এটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তার প্রশাসন বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছিল, যেমন অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের পাসপোর্ট না দেওয়া এবং পর্যটন ভিসার নিয়ম কঠোর করা। তবে, এই প্রচেষ্টা আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। ট্রাম্পের সমর্থকরা দাবি করেছিলেন যে ১৪তম সংশোধনী ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এটি অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে, বিরোধীরা এই উদ্যোগকে চরমপন্থা বলে অভিহিত করেছিল এবং আদালতে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী এবং সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় জন্মগত নাগরিকত্বের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিল। এসিএলইউ-এর মতো সংগঠন এবং ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেলরা আদালতে মামলা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ১৮৯৮ এবং ১৯৮২ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায় বাতিল করা অত্যন্ত চরমপন্থী পদক্ষেপ হবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নীতির সাথে সরাসরি সংঘর্ষে যাবে।
১৪তম সংশোধনী
মূল তথ্যাবলী:
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জন্মগত নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা করেছিল।
- ১৪তম সংশোধনী জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকারকে সুরক্ষিত করে।
- সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় জন্মগত নাগরিকত্বের পক্ষে।
- বিরোধীরা আদালতে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
- এই বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নীতির সাথে সংঘর্ষে যাওয়ার ঝুঁকি বহন করছিল।
গণমাধ্যমে - ১৪তম সংশোধনী
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
১৪তম সংশোধনী এই পরিকল্পনার বড় বাধা।