হাজিরপাড়া, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। লক্ষ্মীপুর জেলার পূর্বাংশে অবস্থিত এই ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ৭ বর্গ কিলোমিটার। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, হাজিরপাড়ার জনসংখ্যা ছিল ২২,২০৭ জন। ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী, জনসংখ্যা বেড়ে ৪২,১০৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে পুরুষ ২২,৪৬১ জন এবং নারী ১৯,৬৪৪ জন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। পশ্চিমে দত্তপাড়া ও মান্দারী ইউনিয়ন, দক্ষিণে দিঘলী ও চর শাহী ইউনিয়ন, পূর্বে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন এবং উত্তরে উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন অবস্থিত। এটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১১নং ইউনিয়ন পরিষদ এবং চন্দ্রগঞ্জ থানার আওতাধীন। হাজিরপাড়া ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৭৬নং নির্বাচনী এলাকা (লক্ষ্মীপুর-৩) এর অংশ। এখানকার সাক্ষরতার হার প্রায় ৮০%। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি দাখিল মাদ্রাসা, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি কিন্ডারগার্টেন এবং ২১টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। ঢাকা-রায়পুর মহাসড়ক হাজিরপাড়া ইউনিয়নকে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর ও চন্দ্রগঞ্জ হয়ে নোয়াখালীর সাথে সংযুক্ত করেছে। হাজিরপাড়া বাজার, চরচামিতা বাজার এবং আনন্দ বাজার এখানকার প্রধান হাট-বাজার। ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হাজিরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেন দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন। তার স্মৃতিরক্ষার্থে ২০২৪ সালে ‘শহীদ মনির হোসেন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ অনুষ্ঠিত হয়।
হাজিরপাড়া
আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৩৬ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন হল হাজিরপাড়া।
- প্রায় ৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তন এবং ৪২,১০৫ জন জনসংখ্যা।
- ৮০% সাক্ষরতা হার এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
- ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত।
- ২০১১ সালে যুবদল নেতা মনির হোসেনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।