হরিদাস রায় নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুজন হরিদাস রায় সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে:
১. হরিদাস দত্ত (বিপ্লবী): ১ নভেম্বর ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণকারী হরিদাস দত্ত ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি রডা কোম্পানির অস্ত্রলুণ্ঠনে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ১৯১২ সালে খগেন্দ্রনাথ দাসের সাথে জগৎদলে আলেকজান্ডার জুট মিলে কাজ করার সময় এক ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারকে হত্যার চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। ২৬ আগস্ট ১৯১৪ সালে বিপিন গাঙ্গুলির দলের সাথে মিলে রডা কোম্পানি থেকে ৫০টি পিস্তল এবং ৪৬ হাজার কার্তুজ অপহরণ করেন। এই অস্ত্রগুলি কলকাতা থেকে মলঙ্গা লেনে অতুল কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়। ১১ অক্টোবর ১৯১৪ সালে গ্রেপ্তার হয়ে ৪ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মুক্তি পেয়ে ১৯৩০ থেকে ১৯৩৪ সালের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, মেদিনীপুর ও কলকাতায় বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের কাছে তিনি ‘মেজদা’ নামে পরিচিত ছিলেন। বিনয়, বাদল এবং দীনেশের রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
২. হরিদাস ভট্টাচার্য (দার্শনিক): ৭ নভেম্বর ১৮৯১ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ) ভাটপাড়ায় জন্মগ্রহণকারী হরিদাস ভট্টাচার্য ছিলেন একজন বিখ্যাত দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ২৬ বছর অধ্যাপনা করেন এবং এই বিভাগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার প্রখ্যাত শিক্ষার্থীর মধ্যে সরদার ফজলুল করিম ও নলিনীকান্ত ভট্টশালী উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানজনক বক্তৃতা প্রদান করেন এবং ‘দর্শনসাগর’ উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যান্য হরিদাস রায়: প্রদত্ত তথ্যে আরও কোনো হরিদাস রায়ের উল্লেখ নেই। তবে, সম্ভবতঃ আরও কিছু হরিদাস রায় থাকতে পারেন, তাদের সম্পর্কে তথ্যের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন।