স্টুয়ার্ট রবার্টসন: একজন ব্যক্তি নাকি টি-টোয়েন্টির জনক?
স্টুয়ার্ট রবার্টসন নামটি শুনলে অনেকেরই মাথায় প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে—এই রবার্টসন আবার কে? গুগলে খুঁজলেই দেখা যাবে, এই নামে অনেক ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু আমরা যাঁর কথা বলতে যাচ্ছি, তিনি ক্রিকেটের জগতে একজন অমর নাম। কারণ তিনিই হলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ টি-টোয়েন্টির আবিষ্কারক।
কার্যত, ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) বিপণন ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করার সময় তিনি এই ক্রান্তিকারী ধারণা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কাউন্টি ক্রিকেটে দর্শক সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসিবি নতুন কিছুর সন্ধান করছিল। দুই লাখ পাউন্ড ব্যয়ে বাজার গবেষণা করে তারা খুঁজে পায় যে দর্শকরা সংক্ষিপ্ত, বিনোদনমূলক ক্রিকেট ম্যাচ পছন্দ করেন।
স্টুয়ার্ট রবার্টসনের ২০০১ সালে প্রস্তাবিত বিশ-বিশ ৪০ ওভারের ক্রিকেটের ধারণা কাউন্টি দলগুলোর চেয়ারম্যানদের সভায় ১০-৭ ভোটে পাস হয়। ২০০৩ সালে রোজ বোলে হ্যাম্পশায়ার ও সাসেক্স দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ম্যাচটি সুপারহিট হয়, আর টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট সস্তা, চার-ছয়ের বৃষ্টি, আর দর্শকদের তাৎক্ষণিক আনন্দের এক অভিজ্ঞতা উপহার দেয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টির অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে স্টুয়ার্ট রবার্টসনের নাম আজ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয়। তিনি হয়তো আইপিএলের মতো টাকার বন্যার স্বপ্ন দেখেননি, তবুও তার উদ্ভাবন ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছে। তার এই অবদান ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।