পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত একটি শহর ও পৌরসভা হল সোনামুখী। সোনামুখী নামকরণের পিছনে রয়েছে স্বর্ণমুখী দেবীর মন্দির। এই প্রাচীন শহরটি ২৩°১৮′ উত্তর ৮৭°২৫′ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ৬৬ মিটার। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, সোনামুখীর জনসংখ্যা ছিল ২৭,৩৪৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। সাক্ষরতার হার ৭১% (পুরুষ ৭৮%, নারী ৬৪%)। সোনামুখী তার কালী ও কার্তিক পূজার জন্য বিখ্যাত। বৃহৎ আকারের কালী ও কার্তিক প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা এক অন্যতম আকর্ষণ। এই শহরে একটি সরকারি কলেজ, দুটি বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, এবং একটি সরকারি আইটিআই কলেজ রয়েছে। বি. জে. হাই স্কুল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে। সোনামুখী রেল স্টেশন দক্ষিণ পূর্ব রেল জোনের আদ্রা বিভাগের অধীনে ব্রডগেজ বাঁকুড়া-মশাগ্রাম লোকাল ট্রেন রুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। ৮ নং রাজ্য সড়ক বর্ধমান ও বাঁকুড়াকে সংযুক্ত করে এই শহরের মধ্য দিয়ে যায়। সোনামুখী কুসুমকুমারী দেবী এবং হরনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান হিসাবেও পরিচিত। এছাড়াও এখানে বহু প্রাচীন মন্দির এবং মৃৎশিল্পের দৃষ্টিনন্দন উদাহরণ দেখা যায়। সোনামুখী বাঁকুড়া জেলার একটি প্রাচীন জনপদ এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
সোনামুখী
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
Sonamukhi
সোনামুখি
সোনামুখী
মূল তথ্যাবলী:
- সোনামুখী পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি প্রাচীন শহর।
- স্বর্ণমুখী দেবীর মন্দির থেকে এর নামকরণ।
- কালী ও কার্তিক পূজার জন্য বিখ্যাত।
- এখানে একটি সরকারি কলেজ, দুটি বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ এবং একটি আইটিআই কলেজ আছে।
- সোনামুখী রেল স্টেশন দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে।
- কুসুমকুমারী দেবী ও হরনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - সোনামুখী
এই এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।