সেলিনা হায়াৎ আইভী

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৫ এএম
নামান্তরে:
সেলিনা হায়াৎ আইভি
সেলিনা হায়াৎ আইভী

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী: নারায়ণগঞ্জের প্রথম নারী মেয়র

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন উল্লেখযোগ্য নারী নেতা এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র। ৫ জুন ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী আইভী এক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার পিতা আলী আহম্মদ চুনকা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক।

শিক্ষাজীবনে আইভী দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরি স্কুল এবং মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ট্যালেন্টপুল জুনিয়র স্কলারশিপ লাভ করেন এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে, রাশিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নিশিপ শেষ করে ১৯৯৩-৯৫ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

রাজনৈতিক জীবনে আইভী তার পিতার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী চেয়ারম্যান হন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী সিটি কর্পোরেশন মেয়র হন। ২০১৬ এবং ২০২২ সালে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন এবং আলী আহম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন ও নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবেও কাজ করেন। ২০২২ সালে তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়। তবে ১৯ আগস্ট ২০২৪ সালে তাকে সহ অন্যান্য ১১জন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে আইভী ১৯৯৫ সালে কাজী আহসান হায়াৎ-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। রাজনীতিতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তিনি অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননায় ভূষিত হন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র।
  • তিনি একজন চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদ।
  • তিনি তিনবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
  • তিনি আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত।
  • তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
  • ২০২৪ সালে তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।