রাজশাহীর তানোরে সংঘটিত বিএনপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক নামক এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, সুলতানুল ইসলাম নামটি বহুল ব্যবহৃত এবং একাধিক ব্যক্তি বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই নিবন্ধে, রাজশাহীর তানোরে সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত সুলতানুল ইসলাম তারেকের উপর আলোকপাত করা হবে।
২০২৪ সালের ১৫ই ডিসেম্বর রোববার বিকালে তানোর উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক। তারেকের নেতৃত্বাধীন বিএনপির একটি গোষ্ঠী ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পথসভা করার কথা ছিল। এই পথসভা কেন্দ্র করেই বিএনপির আরেক গোষ্ঠীর নেতৃত্বে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের অনুসারীরা হামলা চালায়।
এই ঘটনায় সুলতানুল ইসলাম তারেক ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষে মাইক্রোবাস ভাঙচুর, মারধর ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে মিজানকে দেখা যায়নি। তবে সংঘর্ষের পর তারেক মিছিলসহ থানা মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের উপর জোর দেন এবং হামলার বিচার চান। মিজান গ্রুপের নেতারা এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের পক্ষে বলে দাবি করেন। এই ঘটনার পরও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পরে তারেক তানোর থানা মোড়, মুণ্ডুমালা বাজার ও বাঁধাইড় ইউপিতে পথসভা করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন। রাতে তিনি বাঁধাইড় ইউপির হাপানিয়া দোগাছি গ্রামে একটি তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে অংশ নেন।
তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিলো এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, তবে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্যযোগ্য হলো যে, সুলতানুল ইসলাম তারেকের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দান করে। এই ঘটনার পিছনে সংগঠনতন্ত্র, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও স্থানীয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধ জড়িত থাকতে পারে।
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪