সুদানের সেনাবাহিনী এবং তাদের আধা-সামরিক বাহিনী, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)-এর মধ্যে ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলছে। গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে উত্তর দারফুরের আল-ফাশির শহরটি গত মে মাস থেকে আরএসএফ-এর অবরোধে আবদ্ধ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন, মে মাস থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই অবরোধে ৭৮২ জন নিহত এবং ১১৪৩ জনের বেশি আহত হয়েছে। তিনি আরএসএফ-এর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য। সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয়েই বেসামরিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করে একে অপরকে দোষারোপ করছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধের পর থেকে সুদানে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং এক কোটির বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আল-ফাশির সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। সুদানের সেনাবাহিনী দারফুর অঞ্চলে তাদের শেষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য লড়াই করছে। পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, এখানে আরএসএফ-এর জয় হলে গত বছর পূর্ব দারফুরের মতো জাতিগত প্রতিশোধের ঘটনা ঘটতে পারে।
সুদানের সেনাবাহিনী
মূল তথ্যাবলী:
- সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
- আল-ফাশির শহর অবরোধে আবদ্ধ।
- ৭৮২ জন নিহত এবং ১১৪৩ জনেরও বেশি আহত।
- জাতিসংঘ অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
- সুদানে গৃহযুদ্ধে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত।
গণমাধ্যমে - সুদানের সেনাবাহিনী
মে ২০২৪ - ডিসেম্বর ২০২৪
আল-ফাশির শহরে অবরোধের মধ্যে বেসামরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।